মাশরাফিকে সাতবার ‘বাঁচিয়েছেন’!!!! - প্রবাসী বাংলা নিউজ

ব্রেকিং নিউস

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Tuesday, February 6, 2018

মাশরাফিকে সাতবার ‘বাঁচিয়েছেন’!!!!

মাশরাফিকে সাতবার ‘বাঁচিয়েছেন’!!!!
‘পাগলা’র সঙ্গে অনেক দিন পর তাঁর দেখা। ‘পাগলা’ হচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ককে ডেভিড ইয়াং এ নামেই ডাকেন। ইয়াংকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে এই বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়ান শল্যবিদের আত্মার সম্পর্ক। মাশরাফির সঙ্গে সম্পর্কটা আরও গভীর।
ডান হাঁটুর চোটে পড়ে মাশরাফি প্রথমবারের মতো ইয়াংয়ের শরণ নিয়েছিলেন ২০০৩ সালের নভেম্বরে। এক-দুই করে, পরে আরও ছয়বার দুই হাঁটুতে অস্ট্রেলিয়ান শল্যবিদের ছুরির নিচে যেতে হয়েছে মাশরাফিকে। বারবার চোটে পড়ে হুমকির মুখে পড়ে যাওয়া মাশরাফির ক্যারিয়ারটা বেঁচে গেছে ইয়াংয়ের চিকিৎসাতেই—এমনটা বললে বোধ হয় খুব ভুল বলা হবে না। বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির একটি সম্মেলনে ঢাকায় এসেছেন। সফরের ফাঁকেই বিসিবিতে আজ ঢুঁ মেরে গেলেন তিনি। বিসিবি একাডেমি ভবনে দেখা হলো তাঁর প্রিয় ‘রোগী’ মাশরাফির সঙ্গেও!

প্রিয় চিকিৎসককে কাছে পেয়ে মাশরাফি আরেকবার হাঁটু জোড়া দেখিয়ে নিলেন। ইয়াংয়ের কাছে তাঁর কত ঋণ, অধিনায়কের কথাতেই বোঝা যাবে, ‘আমার প্রায় সাতটি অস্ত্রোপচারেই সে হাত দিয়েছে। এখনো খেলছি ওপরে আল্লাহ আছেন বলেই। আর উছিলা হিসেবে সে (ইয়াং) আছে। সে আমার সবকিছুই করেছে। এখন এমনই অবস্থা হাঁটুর বিষয়ে অন্য কারও কাছে গেলে তেমন আত্মবিশ্বাস পাই না! শুধু আমি নয়, আমাদের যারা হাঁটু ও পিঠের চোটের অস্ত্রোপচার করেছে, সবই ওর কাছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে নেপথ্যের বন্ধু সে।’ 
মাশরাফির প্রতি তাঁর মুগ্ধতা অনেক আগ থেকেই। নতুন করে ইয়াং বললেন, ‘মাশরাফি পেশাদার অ্যাথলেট, খেলা ও দেশের প্রতি তার শতভাগ নিবেদন। তার ক্যারিয়ারে একটু হলেও জড়াতে পেরে আমি খুশি। তার যে বিষয়টি সবচেয়ে ভালো লাগে, অসাধারণ মানুষ, অনেক বড় হৃদয়ের মানুষ। বাংলাদেশ ও খেলার জন্য সে সত্যিকারের এক দূত।’ 
চোটে পড়ে ২০০৯ সালের জুলাই থেকে টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে মাশরাফির। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে চালিয়ে গেলেও বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে আর ধারাবাহিক হতে পারবেন কি না, সেটি নিশ্চিত নয়। মাশরাফির টেস্ট খেলার ফিটনেস আছে কি না, এ প্রশ্নে ইয়াং বললেন, ‘প্রতিটি দলের নেতার দরকার। সে সব সময়ই নেতা। টেস্ট দলে তার মতো খেলোয়াড়ের জায়গা থাকে। যে প্রশ্নটা করলেন, আমার উত্তর হবে “হ্যাঁ”।’

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here